দর্শনীয় স্থান/ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান :
১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ
*. বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট/বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর: তেঁতুলিয়া উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার উত্তরে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট। বিভিন্ন কারণে এই বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট বহুল পরিচিত। ২০০৩ সালের ২২মে এখানে বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে ট্রানজিট ( স্থলবন্দর) এবং ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব মো: তোফায়েল আহমদ এই স্থলবন্দর পুর্ণমাত্রায় চালু হলে এখান দিয়ে অনায়াসে ভারত, চীন, নেপাল ও ভূটান যাওয়া যাবে। বাংলাবান্ধা থেকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ হিমাময়কে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। জানা যায় ব্রিটিশ শাসন আমলে ব্রিটিশদের সঙ্গে ভূটানের রাজার বেশ কয়েকবার যুদ্ধ হয়। তখন এই জায়গায় ব্রিটিশরা একটি আমত্মর্জাতিক সীমানা চিহ্নিত করেন। আর তখন থেকেই এ জায়গার নামকরণ করা হয় বাংলাবন্ধ। এই বাংলাবন্ধই পরিবর্তন হয়ে বাংলাবান্ধা রুপে পরিচিতি লাপ করে। বর্তমানে এটিই বাংলাদেশের সর্বোত্তরের শেষপ্রামত্ম সীমা এবং বাংলাদেরশর সর্বোত্তরের গ্রাম ঝাড়ুয়াপাড়া।
**. সিপাহী বিপস্নবের স্মৃতি জেগে রয়েছে তেতুলিয়া উপজেলার সর্বোতের ইউনিয়ন বাংলাবান্ধা-র সিপাইপাড়া গ্রামের নামকরণর মাধ্যমে। এই গ্রামেই সিপাহীবিপস্নবের পরাজিত সিপাহীরা সমবেত অথবা পালিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের অšÍর্গত সিপাইপাড়ার নিকটবর্তী মহানন্দা নদীর পশ্চিমে বর্তমান ভারতীয় ভূমিতে ’’ফাসিদেয়া’’ নামক স্থানে অনেক সিপাহীর মৃত্যু ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হয়(সেকারণে স্থানটির নাম ফাঁসিদেয়া)। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পরও ঐগ্রামে একটি ফাঁসির মঞ্চ দেখা গিয়েছিল। অত্র বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়ার অদূরে সিপাহীরা সণান ও অন্যান্য কাজের জন্য একটি দিঘী খনন করেছিলেন যা এখনও ’’সিপাহীদিঘী’’ নামে পরিচিত। কালক্রমে সিপাইপাড়া গ্রাম সংলগ্ন পাকারাসত্মার ধারে গড়ে উঠেছে ’’সিপাইপাড়া হাট/বাজার’’।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS